ক’রো’নার ভ্যাকসিন তৈরি হবে প্রচলিত দুই ওষুধের সংমিশ্রণে!

বিশ্বজুড়ে ম’হা’মা’রীতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আদা-জল খেয়ে নেমেছেন ভাইরোলজিস্টরা।
ভাই’রা’সটির ডিএনএ গবেষণা করে এর ভ্যাকসিন তৈরিতে মনযোগী হয়েছেন তারা। তবে এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা যে দাবি করেছেন, তা বিস্মিত হবার মতোই।
তারা জানিয়েছেন, নভেল ক’রো’নার ভ্যাকসিন হাতের নাগালেই রয়েছে। স্থানীয় ফার্মেসিতেই পাওয়া যাবে এই ওষুধ।
অর্থাৎ প্রচলতি দুটি ওষুধের মাধ্যমেই ক’রো’না’ভা’ইরাস নিরাময় সম্ভব বলে দাবি কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীদের।
আর সে ওষুধ দুটো হলো – ক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভার। ওষুধ দুটি বর্তমানে ম্যালেরিয়া এবং এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
আর এই দুটি ওষুধ কভিড-১৯ রোগীর শরীরে প্রবেশ করালেই ধীরে ধীরে সেরে উঠবেন।
আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্টে প্রকাশ, ক্লো’রোকুইন এবং লোপিনাভার নামক ওষুধ দুটি নভেল করোনা আ’ক্রা’ন্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি করেছেন কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা।
ওই গবেষণার প্রধান প্রফেসর ডেভিড পেটারসন বলেন, ‘ম্যালেরিয়া এবং এইচআইভি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ দুটি ইতিমধ্যে টেস্টটিউবে ভাইরাসটি নিশ্চিহ্ন করার সক্ষমতা দেখিয়েছে। সে হিসাবে আমরা বলতেই পারি এই ওষুধ দুটির ক’রো’নার চিকিৎসায় কার্যকর। এ নিয়ে আমরা অস্ট্রেলিয়াজুড়ে একটি ক্লিনিক্যাল স্টাডি চালাব।’
ওষুধ দুটির ব্যাখ্যায় ডেভিড পেটারসন বলেন, ‘টেস্টেটিউবে করোনা জীবাণুকে সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছে ক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভার। এখন এটাই দেখতে হবে সংক্রমিত দে’হে এটা কতটুকু প্রভাব ফেলবে। এজন্য আমাদের এখনই যা করতে হবে হলো- অন্তত ৫০টি হাসপাতালে একটি বিশাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো।
আমরা যা করতে যাচ্ছি তা হলো একটি ওষুধ, বনাম অন্য ওষুধ, বনাম দুটি ওষুধের সংমিশ্রণ। অর্থাৎ অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল ওষুধ ক্লোরোকুইন অথবা এইচআইভি দমনের মিশ্র ওষুধ রিটোনাভি কিংবা উভয় ওষুধের সংমিশ্রণ করোনাভাইরাস নিরাময়ে সাফল্য এনে দেবে।’
ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ক’রো’না’ভা’ই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত চীনা রোগীদের এইচআইভি ওষুধ প্রয়োগ করে প্রাথমিক ফল ইতিবাচক মিলেছে বলে জানান ডেভিড।