রক্তের ‘এ’ গ্রুপ ক’রো’নার বেশি ঝুঁ’কিতে, কম ঝুঁ’কিতে ‘ও’ গ্রুপ

প্রা’ণ’ঘা’তী ক’রো’না’ভা’ইরাসের কাঁপছে বিশ্ব। চীনের পরে পরেই ইতালিতে যেন মৃ’ত্যুর মিছিল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এক গবেষণা বলছে, যারা এ গ্রুপের (দ্বিতীয় র’ক্তের ধরন) রক্ত বহন করছেন তারা ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি আ’শ’ঙ্কায় রয়েছেন। আবার যারা ও গ্রুপের র’ক্ত বহন করছেন তারা কম শঙ্কায় রয়েছেন।
চীনের এক দল বিজ্ঞানীর করা এক গবষেণাপত্রে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে মেডরেক্সিভ ওয়েবসাইটে। বিজ্ঞানীরা উহান ও শেনজেন হাসপাতালের দুই হাজার রোগীর তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করেছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, উহানের নাগরিকদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ও গ্রুপের (প্রথম রক্তের ধরন) র’ক্ত বহন করছেন, ৩২ শতাংশ বহন করছেন এ গ্রুপের (দ্বিতীয় র’ক্তের ধরন) রক্ত।
আর ২৫ শতাংশ বি গ্রুপের (তৃতীয় রক্তের ধরন) বহন করছেন এবং ৯ শতাংশ বহন করছেন এবি গ্রুপ (চতুর্থ রক্তের ধরন)। এই তথ্য পেতে বিজ্ঞানীরা উহানের তিন হাজার সাতশ সুস্থ নাগরিকের র’ক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।
বিজ্ঞানীরা এই সময়ে আবার ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত রোগীদের নিয়েও গবেষণা করেছেন। তারা দেখতে পান উহানে করোনা আ’ক্রা’ন্ত রোগীর ৩৮ শতাংশই এ গ্রুপের র’ক্ত বহন করছেন। আর অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী বি গ্রুপের এবং ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ রোগী ও গ্রুপের র’ক্ত বহন করছেন। সবচেয়ে কম রোগী (১০ শতাংশ) এবি গ্রুপের র’ক্ত বহন করছেন।
ওই তথ্যগুলো পাওয়ার পর আবারো শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপর তিনশ ৮৯ জন ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত রোগীর র’ক্ত নিয়ে চলে গবেষণা। তখনো তারা দেখতে পান ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত সবচেয়ে বেশি রোগীই এ গ্রুপের র’ক্ত বহন করছেন।
আর তুলনামূলক কম ব্যক্তি বহন করছেন ও গ্রুপের র’ক্ত। নতুন তথ্য তাদের এই তত্ত্বকে প্রমাণ করেছে। তাই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে এ গ্রুপের র’ক্তের বাহকরা সবচেয়ে বেশি ক’রো’না আ’ক্রা’ন্তের ঝুঁকিতে।
গত বছরের শেষের দিকে ক’রো’না ভা’ই’রাস ছড়িয়ে পড়ে চীনের উহানে। কিন্তু সেখানেই আ’ট’কে থাকেনি এই মা’রণ ভা’ই’রাস। ১৩০ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। সারা বিশ্বের প্রায় সাত হাজার মানুষ এই ভা’ই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে প্রাণ হা’রিয়েছেন। এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। চীনের পরে পরেই ইতালিতে যেন মৃ’ত্যু’র মিছিল চলছে।