ক’রোনা রোগীদের ‘সিল’ মে’রে দিচ্ছে ভারত

ক’রো’না’ভা’ই’রাসের আ’ক্রা’ন্তদের ‘হোম কো’য়া’রেন্টিন’ করে রাখার পাশাপাশি তাদের শ’রীরে সিল মে’রে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার।
ক’রো’না আ’ক্রা’ন্তদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করে রাখতে তাদের বাঁ হাতে একটি বিশেষ ‘সিল’ মে’রে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভারতের তৃতীয় করোনা আ’ক্রা’ন্ত রো’গী মা’রা গেছেন। সরকারি হিসাবে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন ১২৫ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই রয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৯ জন।
গত কয়েকদিনে রাজ্যের প্রায় সাত জন করোনা লক্ষণ যুক্ত রোগী চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পা’লি’য়ে গেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরে বলেছেন, ‘কেউ যদি কোভিড-১৯-এ আ’ক্রা’ন্ত হন, সেটি তার অ’প’রাধ নয়। তাদের অবশ্যই যথাযথ চিকিৎসা এবং মন’স্তা’ত্ত্বিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
রাজ্যের জনগণের স্বার্থেই ম’হা’মারি নি’রো’ধক আইন তৈরি করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনকে অবশ্যই এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ বলেছেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ক’রো’না আ’ক্রা’ন্ত স’ন্দে’হে কোনো ব্যক্তিকে তার নিজের বাড়িতে কো’য়া’রেন্টিন অবস্থায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হলেও, তারা তা অ’মা’ন্য করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্যান্য মানুষজনের সঙ্গে মিশছেন। এর ফলে আরও বেশি করে ক’রো’না সং’ক্র’মিত হচ্ছে।’
‘তাই ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের হাতে যে অমোচনীয় কালি লাগানো হয়, সেই কালি দিয়ে ক’রো’না লক্ষ’ণ’যুক্ত ব্যক্তিদের বাঁ হাতে একটি সিল মে’রে দেওয়া হবে। যাতে সহজেই তাকে চিহ্নিত করা যায়’, বলেন তিনি।
একইসঙ্গে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কেউ করোনা সংক্রমণের লক্ষণ শরীরে থাকা সত্ত্বেও ঘর থেকে বেরিয়ে সাধারণের সঙ্গে মেলামেশা করলে তার বিরুদ্ধে শা’স্তি’মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।