এই চিকিৎসক ক’রো’না রোগীদের সেবা দিতে দিতে নিজেই মৃ’ত্যুর কোলে!

ক’রো’না’ভা’ই’রা’সের সং’ক্র’মণে মৃ’ত্যু’পুরীতে পরিনত হয়েছে ইতালি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আ’ক্রা’ন্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা গড়ে একশ জন করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত রোগী সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন দেশটির চিকিৎসকরা।
নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাতদিন সেবা দিয়েও সামাল দিতে পারছেন না ডাক্তার-নার্স ও চিকিৎসা সংশিষ্ট কর্মচারীরা। এবার করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে দিতেই মৃ’ত্যু’র কোলে ঢলে পড়লেন দেশটির একজন প্যারামেডিক চিকিৎসক।
তিনি ক’রো’নায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত লম্বার্ডিয়া অঞ্চলে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
ইতালীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী ডিয়েগো বিয়ানকো নামের ওই প্যারামেডিক চিকিৎসক শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাতে মন্টেলোয় নিজের বাড়িতে মারা যান। সেখানে তিনি স্ত্রী এবং এক ছেলে নিয়ে বসবাস করছিলেন। মৃ’ত্যু’র আগে ৭ দিন ধরে তিনি জ্ব’রে আ’ক্রা’ন্ত ছিলেন।
মৃত চিকিৎসক কোভিড-১৯ ক’রো’না’ভা’ই’রাস মো’কা’বেলায় নিরলস কাজ করেছেন। তিনি ইতালির সবচেয়ে ক্ষ’তি’গ্র’স্থ উত্তর অঞ্চলের লম্বার্ডিয়া প্রদেশে জরুরী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে কাজ করছিলেন। যেখানে ক’রো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। মৃ’ত্যু হয়েছে ১২০০ জনের।
ইতালিতে ক’রো’না’ভা’ই’রা’সের রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তাররা বলছেন, এত রোগীর ভিড় যে কাদের তারা বাঁচানোর চেষ্টা করবেন এবং কাদের ফেলে রাখবেন তা তাদেরকে বেছে নিতে হচ্ছে।
ডা. ক্রিশ্চিয়ান সালারোলি ক্যুরিয়েরে ডেলা সেরা নামে এক সংবাদপত্রকে তার হাসপাতালের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ৮০ থেকে ৯৫ বছর বয়সের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি ভীষণ শ্বা’স’ক’ষ্টে ভোগেন তবে আপনি চিকিৎসার জন্য এগিয়ে যেতে চাইবেন না।
এগুলো ভ’য়া’ব’হ কথা, তবে আফসোসের বিষয় যে এটি সত্যি। ডা. ক্রিশ্চিয়ান উত্তরাঞ্চলীয় লম্বার্ডিয়া অঞ্চলের বার্গামো শহরের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের প্রধানের দ্বায়িত্বে আছেন।
কাকে বাঁচাতে কতটা চেষ্টা করবেন ইতালিতে চিকিৎসকরা এখন সেই কঠিন নৈতিক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই বিপুল পরিমাণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালের পর্যাপ্ত বিছানার ব্যবস্থা করতে রীতিমত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারা। যু’দ্ধ বি’গ্র’হ ছাড়া কোনো দেশের এমন পরিস্থিতি ভাবা যায় না।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন