পাওনা টাকা চাওয়ায় ছু’ড়িঁ দিয়ে প্র’বাসীর ঠোঁ’ট কেঁ’টে নি’ল আলমগীর

Mar 11, 2020 / 09:45am
পাওনা টাকা চাওয়ায় ছু’ড়িঁ দিয়ে প্র’বাসীর ঠোঁ’ট কেঁ’টে নি’ল আলমগীর

আখাউড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নি’জের ঠো’ট হা’রালেন এক প্র’বাসী। উপজেলার চান্দপুর এ’লাকায় গত ৪ মার্চ রাতে এই নি’র্মম ঘ’টনা ঘটে। এসময় মা’রধরও করা হয় মালশিয়া প্র’বাসী সাইফুল ইসলাম নামের এই ব্য’ক্তিকে। আ’হত সাইফুল ইসলাম চান্দপুর গ্রামের হাজী আফতাব মিয়ার ছে’লে। এঘটনায় আখাউড়া থানায় মা’মলা হয়েছে। মা’মলার পর অ’ভিযু্ক্ত একই গ্রামের আলমগীর প’লাতক রয়েছে।

জানা গেছে, আলমগীর হোসাইন এর বাড়িতে পাওনা টাকা দেয়ার ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে আলমগীর ও তার সহযোগিরা আ’তর্কিত হা’মলা চা’লায় পাওনাদার সাইফুলের উ’পর। প্রানে মা’রার উদ্দেশ্য ছু’ড়িঁ দিয়ে গ’লায় আ’ঘাত করলে সাইফুল ইসলাম এর ঠোঁ’ট কে’টে নি’চে প’ড়ে যায়।

এ ব্যাপারে আ’হত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বড় ভাই, আমি এবং আলমগীর তিনজনই মালয়েশিয়া প্রবাসী। এবং আমাদের একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি। এই সূত্রে মালশিয়ায় আমার বড় ভাই এবং আলমগীর এক সাথে ব্যবসা শুরু করে কিন্তু সে ব্যবসায় ছল-চাতুরী করে আমাদের টাকা পয়সা মে’রে দেয়। তখন মালশিয়া পুলিশ তাকে আ’টক করে। এই বিষয় তার বাড়ির মা’নুষ জানতে পেরে দেশে আমাদের প’রিবারকে বিভিন্ন প্রকার হু’মকি দিতে থাকে।

কয়েক মাস আগে আমার ভাই মালশিয়া হতে একবারে দেশে চলে আসে। তখন গ্রাম্য শালিশ এর মাধ্যমে আলমগীর আমাদের ১০লক্ষ টাকা প্রদান করার রায় হয়। তখন সে ও তার প’রিবার এই রায় মেনে নিয়ে কিছুদিন সময় চায়। কিন্তু আলমগীর দেশে আসার পর টাকা না দিয়ে আমাদের আবার হু’মকি -ধ’মকি দিতে থাকে।

গত মাসের শেষের দিকে আমি ছুটিতে দেশে আসি এবং এই বিষয় নিয়ে আবার শালিস ডাকা হয়। গত ৪ই মার্চ শালিস বসলে আমাদের খবর দিলে আমরা যাই। শালিস চলা কালিন সময়ে হঠাৎ আলমগীর আমার বড় ভাই হারুনুর রশিদকে মা’রধর শুরু করে। তাকে বা’চাঁতে গেলে আলমগীর এর ছোট ভা’ই আমাকে ঝা’পটে ধ’রে এবং আলমগীর তার কো’মর থেকে কি’রিজ বাহির করে আমাকে মা’রার উদ্দেশ্য গ’লা বরাবর ছু’ড়ি চা’লায়। তখন আমি ছু’টার চে’ষ্টা করলে কি’রিজ এর আ’ঘাত আমার ঠোঁ’টে লে’গে আমার ঠোঁ’ট কে’টে নি’চে প’ড়ে যায়।তবু তারা আমাকে সহ আমার দুই ভাই কে মা’রধর করতে থাকে।

আমাদের উ’দ্ধার করে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার স’দর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার আমাকে ঢাকা পাঠায় এবং আমার ভাই হারিজ মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা। সে এখনো হাসপাতালেই চি’কিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় আখাউড়া থানায় মা’মলা হয়েছে গত ০৫/০৩/২০২০ ইং।

মা’মলার ব্যপারে এই মা’মলার ত’দন্ত ক’র্মকর্তা (আইও) এস আই মাসুদ আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার ত’দন্ত করে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে এখনো কাউকে গ্রে’ফতার করা সম্ভব হয়নি। মা’মলার পর আমরা কয়েবার অ’ভিযান চা’লিয়েছি আ’সামির বাড়িতে, তবে কাউকে খুঁ’জে পা’ইনি। ঘটনার পর থেকে আ’সামিরা বাড়ি ছে’ড়ে প’লাতক রয়েছে। তাদের গ্রে’ফতারের চে’ষ্টা চলছে।

সূত্রঃ তেপান্তর