মাস্কের দাম বেশি চাইলেই কল করুন এই হ’টলাইনে

দেশে ক’রোনাভা’ইরা’সে আ’ক্রা’ন্ত রো’গীর খবর প্রকাশ হতেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০ টাকার মাস্ক বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
দেশে ক’রোনা রো’গী শনাক্তের পর সচেতনতার জন্য অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেছেন। কিন্তু মাস্ক কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে এবার মাস্কের দাম বেশি নিলে ০১৯৭৭০০৮০৭১ এই নম্বরে ফোন দিলেই ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
মঙ্গলবার এ সং’ক্রা’ন্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভোক্তা অ’ভিযো’গের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, ‘প্রা’ণঘা’তী ক’রোনাভা’ইরা’স থেকে সুরক্ষা পেতে মানুষ যখন মাস্ক কিনতে উ’দ্বুদ্ধ হচ্ছে, ঠিক তখনই একদল অ’সাধু ব্যবসায়ী চড়া দামে তা কিনতে সবাইকে বাধ্য করছে। এর বি’রু’দ্ধে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
মাস্ক বা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যেকোনো পণ্যের গা’য়ের দামের বেশি চাইলে রশিদ সংরক্ষণ করুন এবং আমাদের অবহিত করুন এই ০১৯৭৭ ০০৮০৭১ নম্বরে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অ’ভিযো’গ নিষ্পত্তিতে বিনা খরচে আমরা আপনাকে সব ধরনের সহায়তা করব। অ’ভিযো’গ প্রমাণিত হলে আপনি পাবেন জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ।’
মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার যেকোনো পণ্যের ঊর্ধমূল্য রুখতে সোচ্চার রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল সোমবার মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সং’কট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করায় রাজধানীর গুলশানে বিশেষ অ’ভিযা’ন চালিয়ে দুইটি ফার্মেসি সিলগালা করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বাংলাদেশে ক’রোনাভা’ইরা’স সং’ক্র’মণের খবরে হঠাৎ চাহিদা বেড়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। এর সুযোগ নিচ্ছে কিছু অ’সাধু ব্যবসায়ী। বাজারে কৃত্রিম সং’ক’ট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। এসব ব্যবসায়ীকে ধরতে চট্টগ্রামে অ’ভিযা’নে নেমেছে পু’লি’শ।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার ও হাজারী গলিতে অ’ভিযা’ন শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পু’লি’শ। কোতোয়ালি থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনতে পাচ্ছি, বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা অ’নৈতিক। নভেল ক’রোনাভা’ইরা’সকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নেবে-এটা হতে দেয়া যাবে না। তাই আমরা নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার ও হাজারী গলিতে অ’ভিযা’ন শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ফার্মেসি এবং প্রতিষ্ঠান যারা এসব পণ্য বিক্রি করে সেখানে অ’ভিযা’ন চালানো হচ্ছে। যাদের বি’রু’দ্ধে অ’নৈতিক কর্মকা’ণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যাবে আ’ইন অনুযায়ী তাদের বি’রু’দ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিস্তারিত অ’ভিযা’নের পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশে ক’রোনাভা’ইরা’সে আ’ক্রা’ন্ত তিনজন রো’গী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের রো’গতত্ত্ব, রো’গ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আ’ক্রা’ন্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত। আইইডিসিআর জানিয়েছে, এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
‘যে কোনো সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ভালো করে হাত ধৌত করলে করো’নাভা’ইরা’স ম রে যায়। সাবান দিয়ে শুধু হাত ঘষতে থাকলে হবে না, যেসব জায়গায় জী’বা’ণু জন্মাতে পারে সেসব জায়গায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হাত ধুয়ে ফেললে জী’বা’ণুটি ম রে যাবে। এর ব্যাখ্যায় বলা যায়, এ ভা’ইরা’সে একটা কাভার বা ইনভেলপ থাকে, সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে এ ইনভেলপটি যখন ধ্বং’স হয়ে যায়, ভা’ইরা’সটি কার্যকারিতা হারায়।’
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে রো’গতত্ত্ব, রো’গনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সভাকক্ষে করো’নাভা’ইরা’সের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
দেশের বাজারে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের চ’রম সং’ক’ট, এ ক্ষেত্রে করো’নাভা’ইরা’স ধ্বং’সে সাবান কার্যকর কি না- গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করো’নাভা’ইরা’স ধ্বং’স করতে আমরা মাস্ক বা স্যানিটাইজারের ওপর যে নির্ভরশীলতা তৈরি করছি সেটার কোনো প্রয়োজন নেই। সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। শুধু যেসব ব্যক্তি, যারা করো’নাভা’ইরা’সে আ’ক্রা’ন্ত কিংবা তাদের সেবা প্রদানের জন্য যেসব চি’কিৎ’সক রয়েছেন শুধু তাদেরই মাস্ক পরিধান করা দরকার।
দেশে করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত স’ম্প’র্কে অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আরও ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের শ’রী’রে করো’নাভা’ইরা’সের উপস্থিতি পাইনি। সব মিলিয়ে আমরা ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। এখন পর্যন্ত ৩ জনের শ’রী’রেই করো’নাভা’ইরা’স শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে করো’নাভা’ইরা’স ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে গত ৮ মার্চ আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে তিনজন করো’নাভা’ইরা’সে আ’ক্রা’ন্ত রো’গী শনাক্ত হয়েছেন। পরে ৯ মার্চ সংবাদ স’ম্মেলনে জানানো হয়, দেশে নতুন ক’রোনা আ’ক্রা’ন্ত নেই।