শিক্ষা কর্মকর্তার ধমকে প্রধান শিক্ষক ৪ দিন ধরে হাসপাতালে

মৌলভীবাজারের বড়লেখা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞার বি’রু’দ্ধে তারাদরম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরিকে লা’ঞ্ছি’ত করার অ’ভি’যোগ উঠেছে। তার ধমকে ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ৪ দিন যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার তারাদরম প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরি বুধবার সকালে বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপ ও ওয়াশ ব্লক নির্মাণ কাজ তদারকি করছিলেন। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা ওই স্কুল যান।
বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তিনি প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরিকে চেয়ারে বসা দেখেই ধমকানো শুরু করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষক তার ক্লাস নেই ও অসুস্থতার কথা বলতেই তিনি আরও ক্ষেপে উঠেন এবং মা’র’তে উদ্যত হন। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাকে নি’বৃত্ত করেন।
শিক্ষা কর্মকর্তার এমন আচ’রণে তিনি মা’ন’সিক ভা’র’সাম্য হা’রি’য়ে ফেলেন। পরে সহকর্মীরা তাকে উ’দ্ধা’র করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গত ৪ দিন যাবৎ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে ভর্তি প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসে বসা দেখেই তাকে অ’শ্লী’ল গা’লা’গাল দিতে থাকেন। অসুস্থতা ও ক্লাস নেই জানালে ক্ষে’পে গিয়ে ধ’ম’কাতে ধমকাতে আমার হাতের লাঠি নিয়ে মারতে উ’দ্য’ত হন। এতে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা জানান, প্রায়ই তারাদরম প্রাইমারি স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায় না। পেলেও ক্লাস টাইমে শিক্ষকদের নিয়ে অফিসে খোশগল্প করতে দেখা যায়। বুধবার শিক্ষার্থীদের মাঠে দৌঁড়াদৌড়ি ও ক্লাস ফাঁকা রেখে শিক্ষকরা চা চক্র চালাতে দেখি।
শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে অফিসে বসে থাকার কারণ জানতে চাই। শিক্ষকদের ক্লাস রুটিন চাওয়ায় প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জাফরি চরম অ’সদাচরণ করেন, লা’ঠি নিয়ে মা’র’তে উদ্য’ত হন। প্রধান শিক্ষককে লা’ঞ্ছি’ত করার অ’ভি’যোগ অস্বীকার করে উল্টো তিনি অ’ভি’যোগ করেন, প্রধান শিক্ষক জাফরি তাকে লা’ঞ্ছি’ত করেছেন।