দশ হাজার উট-ঘোড়ার পর এবার কোয়ালা হ’ত্যা’য় মেতেছে অস্ট্রেলিয়া

উট ও ঘোড়া হ’ত্যা’র পর এবার কোয়ালা হ’ত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শতাধিক কোয়ালা হ’ত্যা’র অ’ভি’যো’গ উঠেছে। বুলডোজার দিয়ে সেখানে প্রাণীগুলোকে নিধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শতাধিক কোয়ালার ম’র’দে’হ পাওয়া গেছে।
ব্লুগাম গাছের একটি প্রকল্পে পরিকল্পিতভাবে এই হ’ত্যা চালানো হয়েছে বলে অ’ভি’যো’গ’ করেছে দেশটির পরিবেশবাদী একটি সংগঠন। বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ অস্ট্রেলিয়ার গবেষক অ্যান্থনি অ্যামিস বলেন, ‘তারা (স্থানীয়রা) বুলডোজারে পিষ্ট কোয়ালাগুলোর সন্ধান পায়।
আমাদের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে সেখানে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এটা একটা হ’ত্যা’কা’ণ্ড।’ দক্ষিণ-পশ্চিম ভিক্টোরিয়ার পোর্টল্যান্ডের কাছাকাছি জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় এক নারী শুক্রবার সেখানকার একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মা (কোয়ালা) আর ছানাদের হ’ত্যা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ল’জ্জি’ত হওয়া উচিত।’
অ্যামিস জানান, নভেম্বর পর্যন্ত সেখানকার ব্লুগাম গাছের এই প্রকল্প মিডওয়ে নামের একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে ছিল। এরপর স্থানীয় এক ভূমি মালিকের কাছে সেটি তারা হস্তান্তর করে। সেখানে অন্য গাছ নিধন করতে গিয়ে কোয়ালাদের বুলডোজারে পিষ্ট করা হয়। স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি আ’হ’ত কোয়ালাকে সেখান থেকে উ’দ্ধা’র করেছেন বলেও জানা গেছে।
বিষয়টি তদন্ত করছে ভিক্টোরিয়ার পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিকল্পিতভাবে কোয়ালাদের হ’ত্যা করা হলে দায়ীদের বি’রু’দ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
এদিকে মিডওয়ে দাবি করেছে, জমি হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত কোয়ালাদের কোনো ধরনের ক্ষ’তি হয়নি। প্রাণীগুলোর বসবাসের মত যথেষ্ট গাছও তারা রেখেছিল। ভিক্টোরিয়াতে নব্বইর দশক থেকে এক লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্লুগাম গাছের চাষ হয়েছে। যা কোয়ালাদের থাকারও অন্যতম জায়গা।
এর আগে সাম্প্রতিক দা’বা’নলে অস্ট্রেলিয়াতে অনেক কোয়ালা মা’রা গেছে, অনেক প্রাণী তাদের বাসস্থান হারিয়েছে। উল্লেখ্য, দা’বা’নলের সময় দেশটিতে ১০ হাজার উট মে’রে আর্ন্তজাতিকভাবে নি’ন্দি’ত হয় অস্ট্রেলিয়া।
এর পর ওই অঞ্চলে ব’ন্যা’ দেখা দেয়। উট মা’রা’র কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় অ’তিরিক্ত পানি পানে খরা দেখা দিয়েছে। আর বর্জ্য থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড বাতাসে মিশে যাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষ’তি’কর। এছাড়া ঘোড়া মে’রে ফেলারও খবর পাওয়া গেছে।