প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ছয়জনকে জামিন শুনানির আগে গ্রেপ্তার নয়

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ ছয়জনের জামিনের শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের নেতৃত্বধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে দিয়ে আসামিদের এই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার জন্যও নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় আজই হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন পাঁচ আসামি। অপর তিন আসামি হলেন শাহ পরান তুষার, মহিতুল আলম পাভেল, শুভাশীষ প্রামাণিক ও কবির বকুল। ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
তাঁরা হলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার, কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, ডেকোরেশন ও জেনারেটর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।
গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে প্রথম আলোর সহযোগী ‘কিশোর আলো’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানের জন্য টানা বিদ্যুৎ-সংযোগে স্পৃষ্ট হন শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাত। পরে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নির্দেশে শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়।
১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
‘কিশোর আলো’র প্রকাশক মতিউর রহমান এবং সম্পাদক আনিসুল হক।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন