চুরি হওয়ার ভ’য়ে দিনেও পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিতে হয়!

রাজশাহীর বাঘায় চু’রি আ’ত’ঙ্কে দিনেও লাঠি হাতে নিয়ে পেঁয়াজ ক্ষেত পা’হারা দিচ্ছেন দানেশ মণ্ডল নামের এক চাষী।
মঙ্গলবার আড়ানী হামিদকুড়া গ্রামের মাঠে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে হামিদকুড়া গ্রামের দানেশ মণ্ডল বলেন, অতিরিক্ত দামের কারণে কদর বেড়েছে পেঁয়াজের। তাই দিনের বেলাতেও পাহারা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাত জেগেও পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বছর আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। চড়া দামের কারণে পেঁয়াজ চু’রির ভ’য় বেশি। তাই দিনেও পাহারা দিতে হচ্ছে। তবে বিগত বছর এভাবে পেঁয়াজের ক্ষেত পাহারা দিতে হয়নি বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া রাতের জন্য কুয়াশা ঠেকাতে মাথার উপর ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। লাঠি ও টর্চ লাইট হাতে নিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে।
এ দিকে বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন সরেরহাট পালপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, কোনো পেঁয়াজ চাষীর চোখে ঘুম নেই। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও মাঠে পাহারা দিতে হচ্ছে। ফলন কম হলেও চুরির ভ’য়ে আর বেশি দামের আশায় অনেকেই পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন।
আরেক চাষী মশিদপুর গ্রামের আসলাম আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। যা পূর্ণ মৌসুমের তুলনায় অনেক কম। বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। আগের তুলনায় দামও অনেক কমে গেছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিউল্লাহ সুলতান জানান, চলতি বছর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে ৮৮০ হেক্টর জমিতে। তবে আগের চেয়ে বর্তমানে অনেকটায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার আরও কমে যাবে।