বৃহস্পতিবার থেকে নামতে পারে বৃষ্টি, আরো কমতে পারে তাপমাত্রা

দু’দিন পর শুরু হতে পারে বৃষ্টি। তখন হয়তো বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেশিই হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময়ে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে। এদিকে চলমান ঠান্ডার কিছুটা উন্নতি হয়েছে সোমবার।
বাংলাদেশে শীত বেশি পড়ে এমন স্থানগুলোর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেমন বেড়েছে তেমনি সর্বনিম্ন তামপাত্রার পারদও উপরের দিকে ছিল। তবে ঠান্ডাজনিত রোগ-শোক বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বেড়েছে শ্বাসক’ষ্ট জনিত রোগ। জ্বর ও সর্দি-কাশিতো রয়েছেই। ঠান্ডার কারণে মানুষের ডাযরিয়াও বেড়ে যায়।
সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়ায় আ’ক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৮৮৭ জন। জন্ডিস, আমাশয়, চোকেল প্রদাহ, চর্মরোগ ও জ্বরে আ’ক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৬৭০ জন। রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রচুর রো’গী আসছেন শ্বাসক’ষ্টজনিত রোগ নিয়ে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলেছে, সোমবার শ্বাসতন্ত্রের রোগ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে ৯২৮ জন। এটা কেবল সরকারি হাসপাতাল থেকে পাওয়া রোগীর তালিকা। ডাক্তারদের বেসরকারি চেম্বারে যারা আসছেন এদের তালিকা নেই।
সারাদেশে আবহাওয়ার সার্বিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে সোমবার। কুয়াশার ঘনত্ব ভেদ করে সূর্যকে উঁকি দিতে দেখা গেছে সর্বত্র প্রায় সব জায়গায়। তবে রাতে অথবা সকাল ঘন কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। আরো থাকবে কয়েক দিন। অন্যান্য দিনের মতো আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আজ মঙ্গলবার কিন্তু দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার দিনের বেলাও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রির মতো। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। ফলে আগের দিনগুলোর চেয়ে মঙ্গলবার সারাদিনই আবহাওয়া অনেকটা সহনীয় থাকতে পারে। সুয়েটার আগের মতো দুইটা অথবা তিনটা গায়ে না চাপিয়ে বাইরে বের হওয়া যাবে।
দেশের শীতলতম স্থানগুলোর মধ্যে তেঁতুলিয়া, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, যশোরের মতো স্থানে সোমবার নিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ থেকে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার টেকনাফেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সোমবার জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমা বায়ু প্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। এটা অব্যাহত থাকতে পারে দুই থেকে তিন দিন। এ সময় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বৃষ্টির পানিতে পরিবেশের তাপমাত্রা আরো কিছুটা কমে যেতে পারে।
শৈত্য প্রবাহের আরেকটা ধাক্কা লাগতে পারে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে। বৃষ্টিরপাতের কারণে স্থলভাগে ও সাগরের উপরিতলের তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা দিতে পারে। তাপমাত্রার এ পার্থক্যের কারণে সাগরে সৃষ্টি হতে পারে একটি লঘুচাপ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া অফিস ডিসেম্বরের মাস ব্যাপি পূর্বাভাসে ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ থেকে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। সোমবার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হয়তো বৃষ্টির মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে যদি তাপমাত্রা কমে যায়।