এনআরসি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সোনাক্ষী

Dec 24, 2019 / 11:13am
এনআরসি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সোনাক্ষী

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে সারা ভারতে। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বলিউড তারকারাও শুরু করেছেন আন্দোলন। এ তালিকায় যোগ দিয়েছেন সোনাক্ষী সিনহাও।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া দাবাং থ্রি সিনেমা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সোনাক্ষীকে। উত্তরে তিনি বলেন, দাবাং থ্রি-র ব্যবসার চেয়েও বর্তমানে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ করা।

ভারতজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ করা সবচেয়ে জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সোনাক্ষী সিনহা।

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সম্প্রতি সরব হন ফারহান আখতার। এবার সেই তালিকায় নতুন করে নাম লেখালেন সোনাক্ষী।

তবে এ আইনের প্রতিবাদ করায়, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার থেকে পরিণীতি চোপড়াকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি পরিণীতিও।

উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১৪ সালে দেশটিতে ক্ষমতায় আসার পর এমন তীব্র বিক্ষোভ এবং বিরোধিতার মুখে প্রথমবারের মতো পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি এবং জৈন সম্প্রদায়ের সদস্যরা সে দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এ আইনে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে একই ধরনের বিধান রাখা হয়নি।

ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংসদে উত্থাপনের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রথমে দেশটির উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমেই গোটা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে তাতে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।

চার মাস আগে আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু করে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। আসামে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বাস্তবায়ন করা হয়। গত ৩০ আগস্ট আসামের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।

এতে দেখা যায়, দেশটিতে নাগরিকত্বের জন্য তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ আবেদন করলেও চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে প্রায় ১৯ লাখ; যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি।