ডাকসুতে হামলার ঘটনায় ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভেতরে ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে এ মামলা করা হয়। এর আগে গতকাল সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ দুজনকে আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গত রোববার দুপুরে লাইট বন্ধ করে, রড, লাঠিসোটা নিয়ে ডাকসু ভবনের ভেতরে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায়। এতে ভিপি নুরসহ তাঁর সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ২০ জনের মতো আহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন এবং ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের সমর্থক শতাধিক নেতাকর্মী রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপুরে এই হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে তুহিন ফারাবী আইসিইউতে, ভিপি নুরুল হক নুর ৩৫ নম্বর কেবিনে আর সোহেল, ফারুক ও আমিনুর ৩৬ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন। এই পাঁচজনের চিকিৎসার বিষয়ে ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, নিউরোসার্জারির অধ্যাপক ডা. রাজিউল হককে প্রধান করে এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বোর্ড মিটিং করে পাঁচজনের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।