শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি চালিয়ে গেছেন মা’দক ব্যবসা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি মা’দক ব্যবসা করেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন একাধিকবার। জামিনে বেরিয়ে ফের জড়িয়েছেন মা’দক কা’রবারে। এ ঘটনাটি সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের। সেখানে গাংনী উপজেলার কুলবাড়ীয়া শহীদ হারেজ উদ্দীন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু আব্দুল্লাহ মিলন। অবশেষে মা’দক ব্যবসাসহ নানা অভি’যোগে সোমবার তাকে সাময়িক বর’খাস্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, অভি’যুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ মিলন (৪০) গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুল বাকীর ছেলে। সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। অফিস আদেশে তাকে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সাময়িক বরাখাস্ত দেখানো হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে দেবীপুর গ্রামের একটি বাশঁবাগানে বসে ভারতীয় মা’দক ফে’ন্সিডিল বিক্রি করছিলেন আব্দুল্লাহ মিলন। এ সময় ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাকে আ’টক করে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর তার নামে গাংনী থানায় মাদ’কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মা’ম’লা হয়।
এর আগেও মাদ’ক মাম’লায় তাকে গ্রে’প্তার করা হয়েছিল। গতবছর ২৪ ডিসেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তা’রের পর যে মাম’লা হয়েছিল তা বিচারাধীন। সে মাম’লায় জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে ফের মাদ’ক ব্যবসা শুরু করেন মিলন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহা. ফজলে রহমান জানান, শিক্ষক আবু আব্দুল্লাহ মিলনকে পুলিশ গ্রেপ্তা’র করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে গাংনীর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদন মোতাবেক আবু আব্দুল্লাহকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে।