মোদিও আবরাহার বাদশার মতো ধ্বং’স হবেনঃ বাবুনগরী

Dec 22, 2019 / 09:37pm
মোদিও আবরাহার বাদশার মতো ধ্বং’স হবেনঃ বাবুনগরী

হেফাজত ইসলামের মহাসচিব ও হাটহাজারি মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ইসলাম, মুসলমান ও নবীকে (স.) নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়’যন্ত্র চলছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল ইসলাম ও মুসলমানকে নির্মূল করতে ইসলাম ও রাসূলকে (স.) কটূ’ক্তি করে ইসলামকে বিদায় করতে চায়। কিন্তু তাদের জন্য কোনো আইন নেই। আমরা মুসলমানরা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদকে (স.) জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি।

প্রয়োজনে তার জন্য আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি ইসলাম ও নবীকে অবমা’ননাকারীদের সর্বোচ্চ শা’স্তির বিধান রেখে আইন পাস করতে হবে।

রোববার বিকালে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ইত্তেহাদুল ওলামাইল মাদারিসিল কওমিয়া (আঞ্চলিক কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) কর্তৃক আয়োজিত ইসলামিক মহাসম্মেলনে জুনায়েদ বাবুনগরী এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের আলেম-ওলামারা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাদিয়ানিরা কা’ফের। যারা খতমে নবুয়ত বা মুহাম্মদকে (স.) শেষ নবী মনে করে না তারা সব ঈমামগণের ঐকমত্যের ভিত্তিতে, সব মাজহাবের ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাফের।

কিন্তু এরা মুসলিম নাম ধারণ করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কা’ফের ঘোষণা করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনিও কাদিয়ানিদের কা’ফের মনে করেন। কিন্তু এতে হবে না তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কা’ফের ঘোষণা করতে হবে।

এ সময় তিনি উপস্থিত সব মুসল্লি, সুশিল সমাজ, আলেম-ওলামা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ হতে সরকারের কাছে কাদিয়ানিদের কা’ফের ঘোষণার দাবি জানান।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, বর্তমানে ভারতে বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার রাম মন্দির নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বাবরি মসজিদ ৫০০ বছরের পুরনো মসজিদ। মোঘল আমল থেকে ভারতের পরবর্তী সব হিন্দু নেতা এই বাবরি মসজিদকে মসজিদ হিসেবে মেনে নিয়েছে।

তিনি বলেন, এমনকি ব্রিটিশ আমলে ভারতের সব হিন্দু রাজা ও জমিদারেরা এটাকে মসজিদ হিসেবে মেনে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মোদি সরকার এই মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিস্থাপন করতে চায়। আমার আশঙ্কা, আল্লাহ তায়ালা আবরাহার বাদশার ঘটনার মতো গায়েবি গ’জব দিয়ে মোদিকে ধ্বং’স করে কিনা।

হেফজত ইসলামের কার্যক্রম অরাজনৈতিক উল্লেখ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমাদের আন্দো’লন ক্ষমতা ও গদি দখ’লের জন্য নয়। আমাদের আন্দোলন ইসলামের জন্য। আল্লাহ, তার রাসূল এবং তার মনোনীত দ্বীন ইসলামের হেফাজতের জন্য।

ইত্তেহাদুল ওলামা মাদারিসিল ক্ওমিয়ার সভাপতি মাওলানা আনাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন রাবেয়াতুল ওয়ায়েজিনের সভাপতি আল্লামা আবদুল বাসেদ খান, আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবি, বাইতুল মোকারম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান,

চরমোনাই মরহুম পীর সাহেবের ছেলে সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মোহাম্মদপুর জামেয়াতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস শায়েখ তাহমিদুল মাওলা, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, মুফতি ইয়াসিন নবীপুরী, ইত্তেহাদের সম্পাদক মাওলানা বশির উদ্দিন প্রমুখ।