ভারত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সব কিছুই করবে : অমিত শাহ

প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে যাওয়া অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে যা কিছু করার দরকার তা-ই করবে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপির এই নেতা মঙ্গলবার বলেন, প্রতিবেশী দেশের নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য যা করা দরকার সবই করা হবে।-খবর এনডিটিভির।
দেশজুড়ে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে যতই আন্দোলন গড়ে উঠুক; এ নিয়ে সরকার পিছুহটতে রাজি নয় বলেও তিনি জানান।
এদিকে গত দুই দিনের মতো মঙ্গলবারও ব্যাপক সংখ্যক লোক আইনটি বাতিলের দাবিতে সড়কে নেমে আসেন।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সিলামপুর এলাকায় দিল্লি পুলিশের কয়েকদফা খণ্ডযুদ্ধ হয়। ঘটনার জেরে সাতটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় দিনের মতো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তার নেতৃত্বে বিক্ষোভে অংশ নেন অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান।
দুপুর ১টা নাগাদ যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হয় ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে।
মিছিল শুরুর আগে মমতা বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে যে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন হচ্ছে, সেগুলোকে সমর্থন জানাই। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না। কাউকে বাংলা ছেড়ে যেতে দেব না।’
এ দিনের মিছিলে উপস্থিত রয়েছেন যাদবপুরের সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী ও বসিরহাটের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানও।
তাদের পাশে নিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপি ভাবছে দেশ দখল করে নিয়েছি। সংখ্যার জোরে আইন পাস করানো যায়। মানুষের সমর্থন না পেলে কার্যকরী হয় না। সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন হয়নি। কবে বিল পাস হবে, আগে জানানো হয়নি। না জানায় অনেক সংসদ সদস্য পৌঁছতে পারেননি’।
দিন কয়েক আগে বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘পোশাক দেখলেই বোঝা যায়, কারা বিক্ষোভ করছে।’
মোদির এমন বক্তব্য নিয়েও তাকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘পোশাক দেখে কি আন্দোলনকারীকে চেনা যায়?’