দেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে

Dec 16, 2019 / 10:47pm
দেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে

গুলশান হেলথ ক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ কাদের খান বলেছেন, এক সময় বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখলে সবাই ঘৃণা করত, আজ সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা মানেই বাংলাদেশের প্রশংসা।

তিনি বলেন, এ প্রশংসার অংশীদার আওয়ামী লীগ শুধু একা নয়, বিএনপি ও সাধারণ মানুষও। কারণ দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে।

সোমবার সকালে গুলশান হেলথ ক্লাব আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এমএ কাদের খান এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি টিএম রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, নাজিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম খান স্বপন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান একিউ সিদ্দিকী প্রমুখ।

এমএ কাদের খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কোনো চিহ্নিত রাজাকার হত্যা করেনি বরং তাকে হত্যা করেছে একদল মুখোশধারী লোক, যারা সব সময় আওয়ামী লীগের চারপাশে নিজেদের পরিচয় গোপন করে ঘোরাফেরা করতেন। মনে রাখবেন, চিহ্নিত রাজাকারের চেয়ে মুখোশধারী রাজাকার অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এ ব্যাপারে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

কাদের খান বলেন, সাংবাদিক, ভাষাসৈনিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজাকারের তালিকা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশপাশেও অনেক রাজাকার ঘোরাফেরা করছেন, তাদের তালিকা করুন।

কাদের খান আরও বলেন, স্বাধীনতার শুরু ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৪ সালের সফল নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিপুল জয় আসে। তখন পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু পাক সরকারের সে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, এরপর ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আন্দোলন বেগবান হতে থাকে।

বঙ্গবন্ধুর পুরো যৌবনকাল কেটেছে জেলখানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভুলে গেলে চলবে না, তার কারণে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। ‘জয় বাংলা’ স্বাধীনতার স্লোগান। এ স্লোগান সবার মুখে থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় আক্ষেপ করে কয়েকজন বক্তা বলেন, স্বাধীনতার এত বছরেও শহীদদের তালিকা হয়নি বরং প্রতিবছরই মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হচ্ছে। বর্তমানে তা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা আর কত লম্বা হবে। মুখোশধারী নব্য মুক্তিযোদ্ধার ভিড়ে আজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করেন তারা।