পুলিশ কর্মকর্তাকে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর যৌতুক মামলায় গ্রেফতার

Dec 16, 2019 / 12:28am
পুলিশ কর্মকর্তাকে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর যৌতুক মামলায় গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রী যুব মহিলা লীগ নেত্রী তাহমিনা আক্তার পান্নার যৌতুকের মামলায় মো. সালাউদ্দিন নামে পুলিশের এক পরিদর্শককে (ইন্সপেক্টর) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে জামিন আবেদন করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সালাউদ্দিন কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত)। পান্না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি।

১ ডিসেম্বর তাহমিনা আক্তার পান্না বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার মৃত শরাফ উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তার পান্নার সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সামসুল আলমের ছেলে সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। তাদের ঘরে তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

গত ১৫ নভেম্বর সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে পুলিশের চাকরিতে পদোন্নতির কথা বলে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী পান্নাকে চড়-থাপ্পড়, কিল, ঘুষিসহ এলোপাতাড়ি মারধর করেন সালাউদ্দিন। পরে স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

ঘটনার পরপর বিষয়টি কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোনো বিচার পাননি তাহমিনা। এ জন্য বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে এজহারে উল্লেখ করেন।

তাহমিনা আক্তার পান্নার আইনজীবী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি সালাউদ্দিনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

এ ছাড়াও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় আরও দুটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। তার প্রথম স্ত্রীও মামলা করেছেন তার বিরুদ্ধে।