রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ চলছে রাশিয়ায়

পাবনার রূপপুরে নিউক্লিয়ার থেকে ২ হাজার ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে প্রায় তিন হাজার দক্ষ জনবল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব বলছেন, প্রকল্পের তদারক করতে বাধ্য হয়েই এখন বিদেশ নির্ভর হতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞের জন্য। আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে চলছে দক্ষ জনবল প্রশিক্ষণের কাজ।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সংশ্লিষ্ট নবীন প্রকৌশলীরা এখন দারুণ ব্যস্ত। এদের অনেকেই প্রকৌশল বিদ্যা শেষ করে যোগ দিয়েছেন দেশের প্রথম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মানযজ্ঞে।
বাংলাদেশে চলমান মেগাপ্রকল্পগুলির মধ্যে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অন্যতম। আর ২০২৩ সালে এই প্রকল্প চালু হলে সেখানে প্রয়োজন হবে প্রায় ২ হাজার ৭শ’ বাংলাদেশি কর্মী। আর রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের এই প্লান্ট পরিচালনায় দক্ষ করে তোলা হবে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলছেন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় এরই মধ্যে রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ চলছে অন্তত ৩ শতাধিক নিউক্লিয়ার প্রকৌশলীর।
তিনি বলেন, যথাসময়ে যদি এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট অপারেশনের জনবল প্রশিক্ষিত করা না হয় এবং তাদের যদি সময়মতো ইনলাইনে না আনা হয় তাহলে লাইসেন্স পাওয়া যাবে না।
পরমাণু প্রকল্পে নীতিনির্ধারণের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে এক ঝাঁক পরমাণু প্রকৌশলী ও অপারেটর। দেশে বিশেষজ্ঞের ঘাটতিতে বাধ্য হয়েই বিদেশের সহায়তা নেয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, রূপপুরের ক্ষেত্রে এই সাহায্যগুলি আমাদের নিতেই হবে। অর্থাৎ ২০২৫-২৬ পর্যন্ত এই সহযোগিতা আমরা নেবো।
তবে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের দাবি, প্রশিক্ষিত জনবল কোনো সংকট নয়, বরং স্পর্শকাতর প্রযুক্তির জন্য অপারেটরদের সময়মতো দক্ষ করে তোলাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, মূল মানুষগুলো ওদের ওখান থেকে আসবে। তাদের পাশাপাশি আমাদের ছেলেগুলো থাকবে। তারা কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করবে, দেখবে কীভাবে কাজগুলো করতে হয়। আমাদের লোকগুলোর আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আস্তে আস্তে ওরা চলে যাবে এবং আমাদের লোকগুলো দায়িত্ব নিয়ে নেবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের সাথে এরই মধ্যে দ্বিতীয় প্ল্যান্ট নির্মাণেও দরকষাকষি শুরু করেছে বেশ কয়েকটি পরমাণু শক্তিধর দেশ।