একাই লড়লেন মোসাদ্দেক, এরপরেও হ্যাটট্রিক পরাজয় এড়াতে পারেনি সিলেট

ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে একাই লড়াই করেছেন সিলেট থান্ডার্সের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার ৪৪ বলে ৬টি চার ও এক ছক্কায় গড়া অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসের পরও হ্যাটট্রিক পরাজয় এড়াতে পারেনি সিলেট। এর আগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে হেরে যায় সিলেট।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ঢাকা প্লাটুন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন জাতীয় দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। তার ইনিংসটি ৪২ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় সাজানো।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটে ১৫৮ রানে ইনিংস থামায় সিলেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।
উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৪ ওভারে ৮৫ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। মোসাদ্দেকের করা বলটি ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন তামিম। তার আগে ২৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩১ রান করেন দেশসেরা এ ওপেনার। এর আগের ম্যাচে ৭৪ রান করেছিলেন তিনি।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেয়া বিজয় সাজঘরে ফেরেন ৬২ রান করে। তার ইনিংসটি ৪২ বলে ৮টি চারও এক ছক্কায় সাজানো।
ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান থিসেরা পেরেরা ও ওয়াহাব রিয়াজ। মাত্র ১৬ বল খেলে তারা ৪টি ছক্কা ও এক চারের সাহায্যে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৩২ রান। ৭ বল খেলে দৃষ্টি নন্দন দুটি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ১৭ রান করেন পাকিস্তানের তারকা পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
ঢাকা প্লাটুনের শ্রীলংকান অলরাউন্ডার থিসেরা পেরেরা মাত্র ১১ বল খেলে দুই ছক্কা ও এক চারের সাহায্যে অপরাজিত ২২ রান করেন। আগের ম্যাচে তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয় পায় ঢাকা। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৭ বলে অপরাজিত ৪২ রান করা পেরেরা বল হাতে শিকার করেন পাঁচ উইকেট।
বিজয়-পেরেরা-ওয়াহাব রিয়াজের ব্যাটিং তাণ্ডবে সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ঢাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৮২/৪ (বিজয় ৬২, তামিম ৩১, পেরেরা ২২* লরি ইভান্স ২১, জাকির আলী ২০, ওয়াহাব রিয়াজ ১৭*)।
সিলেট থান্ডার্স: ২০ ওভারে ১৫৮/৭ (মোসাদ্দেক ৬০*, জনসন চার্লস ১৯, দেলোয়ার হোসেন ১৭, রনি তালুকদার ১৪)।
ফল: ঢাকা প্লাটুন ২৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: এনামুল হক বিজয় (ঢাকা প্লাটুন)।