শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে স্বর্ণ জিতলো বাংলাদেশের

শ্রীলঙ্কাকে দাপুটের সঙ্গে হারিয়ে স্বর্ণ জয় করলো বাংলাদেশ। ১৩তম এসএ গেমসের পুরুষ ক্রিকেট ইভেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। এর ফলে নারী ও পুরুষ দুই ইভেন্টেই স্বর্ণ জিতল বাংলাদেশ। আগের দিন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছে নারী ক্রিকেট দল।
এর সঙ্গে এসএ গেমসে ইতিহাসও গড়লো বাংলাদেশ। শান্ত-সৌম্যদের এই স্বর্ণ এবারের এসএ গেমসে বাংলাদেশের ১৯তম স্বর্ণ। যা এসএ গেমসের ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্বর্ণ জয়ের রেকর্ড। আগের সেরা সাফল্য ছিল ২০১০ সালে নিজেদের মাটিতে আয়োজিত আসরে ১৮ স্বর্ণ জয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নেপালের কীর্তিপুর ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২২ রান তুলে শ্রীলঙ্কা।
২৮ বলে ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছিল লঙ্কানরা। ৫ম ওভারে সুমন খানের বলে আফিফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন অপেনার নিশান মধুশাঙ্কা ফার্নান্দো। ২২ বলে ২৪ রান করে ফিরেন আরেক অপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন শাম্মু আসান। অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া তানভির ইসলাম ২টি ও সুমন খান নেন ১টি উইকেট।
জবাবে শুরুতেই শক্ত জুটি গড়েন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৭.৫ ওভারে ওঠে ৪৪ রান। ২৮ বলে চারটি চারে ২৭ রান করা সৌম্যকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কামিন্দু মেন্ডিস। এরর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাধেন সাইফ হাসান। ব্যাটি ঝড় তুলে এই করে ২২ বলে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ।
রান আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে তিনটি চার ও দুই ছক্কায় সাইফ করেন ৩৩ রান। এরপর শান্তকে সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী। ১৬ বলে ১৯ রান ইয়াসির আলীর ফিরে যান। আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন অধিনায়ক শান্ত। তার ২৮ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও একটি ছক্কা।
৩ উইকেট হারিয়েই ১৮.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৩৫, সাইফ হাসান ৩৩, সৌম্য সরকার ২৭ এবং ইয়াসির আলী অপরাজিত ১৯ রান করেন। লঙ্কানদের পক্ষে কামিন্দু মেন্ডিস ৯ রানে নেন ১ উইকেট।
দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন হাসান মাহমুদ।