লিবিয়ায় আমিরাতের ড্রোন হামলায় ৯ শিশুসহ নিহত ১১

লিবিয়ায় খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন সরকারের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চালানো ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ৯ শিশু ও এক গর্ভবতী নারী রয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে বলছে, লিবিয়ার মারজুক শহরের একটি বাড়িতে আমিরাতের ড্রোন হামলায় দুই নারী, ৯ শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। দেশটিতে জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারি জোটের (জিএনএ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে রোববার এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
শহরের একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলেছে, ৯ শিশু ও দুই নারীর মরদেহ সেখানে আনা হয়েছে। গত নভেম্বরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছের একটি বিস্কুট কারখানায় হামলা চালায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এতে ওই কারখানার অন্তত সাত শ্রমিক নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হন।
জিএনএ কমান্ডার খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন সরকারকে আরব আমিরাত সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠলেও দেশটি তা অস্বীকার করেছে।
গত ৪ এপ্রিল লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর নেতা হাফতার রাজধানী ত্রিপোলিতে অভিযান চালিয়ে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, হাফতার বাহিনীর ওই অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির মৃত্যুর পর দেশটির শাসন ক্ষমতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি পক্ষ মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মদদপুষ্ট লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের হাফতার বাহিনী এবং অন্য পক্ষ হলো জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ত্রিপোলির সরকার।