নোবেলকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো? জানালেন ডিএমপি কমিশনার

May 20, 2023 / 02:32pm
নোবেলকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো? জানালেন ডিএমপি কমিশনার

গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। আজ শনিবার (২০ মে) দুপুরে রাজারবাগে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের কথা বলে সে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

ডিবি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এদিকে এ বিষয়ে ডিবি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠানে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, নোবেলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে না গিয়েও এক লাখ ৭২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা হয়।

গত ১৭ মে আদালত মামলা আকারে এজাহার গ্রহণ করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।

এরপর আজ আটক করা হলো নোবেলকে।
এর আগে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি ও সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী নোবেলের মাতলামিতে পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান। দর্শকরা তাকে লক্ষ্য করে জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে। গায়ক নোবেলের এমন কর্মকাণ্ড মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

সে সময় স্থানীয় এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদ পানের কথা স্বীকার করে নোবেল বলেন, ‘স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য, হালকা একটু ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু মদ পান করার দরকার পড়ে। অতিরিক্ত মদ পান করার ধারেকাছে যাইনি। স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলাম।’

এছাড়া মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী সালসাবিল। সালসাবিল লিখেন, ‘আমি হয়তো বা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম।

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে- নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম। এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি ।’