ঘূর্ণিঝড় মোখাঃ ‘প্রাণ যায় যাক, বাঁচাইতে হইবে মাল’

May 13, 2023 / 09:23pm
ঘূর্ণিঝড় মোখাঃ ‘প্রাণ যায় যাক, বাঁচাইতে হইবে মাল’

‘প্রাণ যায় যাক, বাঁচাইতে হইবে মাল’―কথাগুলো বলছিলেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরকারফারমার শারীরিক প্রতিবন্ধী নুরজামাল মাঝি।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। গলাচিপা উপজেলার দুর্গম ও মূল ভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন একটি চরে নিরাপদ কোনো আশ্রয়স্থল নেই। এ অবস্থায় চরকারফারমারে বসবাসকারী নারী-শিশুসহ প্রায় হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে তাদের নেওয়ার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ।

শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলারে করে দুই শতাধিক লোক নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছে। অন্যরা ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু ছেড়ে আসতে চাইছে না। অথচ চরে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই, নেই কোনো বেড়িবাঁধ।

ফলে অনড় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন চরকারফারমায় অবস্থান করে দফায় দফায় ট্রলারযোগে নদীর ওপারে মূল ভূখণ্ডে সাইক্লোন শেল্টারে ওই চরের লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিচ্ছেন।

গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু দাবি করেন, চরকারফারমায় একটি সাইক্লোন শেল্টার থাকলে ঝড়ের সময় উত্তল আগুনমুখা পাড়ি দিয়ে মূল ভূখণ্ডে এসে আশ্রয় নিতে হতো না ।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে চরকারফারমার নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ইতিমধ্যে সাইক্লোন শেল্টারে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে এসেছি। কিছু মানুষ ঘরবাড়ি রেখে আসতে চায় না। তাদেরকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’