রাজ বললেন ‘ছয় বছর পরও কি সেই আগের পারিশ্রমিকেই কাজ করব’

চলচ্চিত্রাঙ্গনে শরিফুল রাজের ক্যারিয়ার ছয় বছরের। তবে চলতি বছর ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। এরপরই রাজের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন নির্মাতারা। নিজেদের সিনেমায় নিতে চাইছেন তাকে। এরইমধ্যে শোনা যায়, নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে রাজ নাকি ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক দাবি করছেন।
কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন রাজ। তিনি যে মোটা অংক পারিশ্রমিক হিসাবে চান সেটা বোঝা গিয়েছিল তার বক্তব্যে। এরপরই বিতর্কের মুখে পড়েন রাজ। ট্রলও করা হয় তাকে নিয়ে।
বিতর্কিত হওয়ার পরপরই রাজ তার ৩০ লাখ টকা পারিশ্রমিকের বিষয়টি গুজব বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে টাকার অংক অস্বীকার করলেও আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিকই যে তিনি দাবি করছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠল তার বক্তব্যে।
রাজ বলেন, ‘আচ্ছা, একটা বড় বাজেটের ছবিতে একজন শিল্পীকে যদি প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ করতে হয়, ওই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ছবিতে কাজ করতে পারবেন না বলা হলে, তাহলে ছবির বাজেট অনুযায়ী ওই শিল্পী যদি এই পারিশ্রমিক চেয়েই থাকেন, ওই শিল্পীর অপরাধ কী? তার মতে, শিল্পীদের শুধুই শুটিংই কাজ নয়, এর বাইরে অনেক কিছুই মেইনটেন করতে হয়। শিল্পীদের জীবনের বাস্তবতায় অনেক খরচের ব্যাপার আছে। সুতরাং ভালো সিনেমা, অভিনয়ের বাইরেও পারিশ্রমিকের বিষয়টিও বড় ব্যাপার।’
রাজ যে উচ্চ পারিশ্রমিকের ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করছেন তার প্রমাণ পরবর্তী বক্তব্যেও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন বলা হচ্ছে, সিনেমায় দর্শক ফিরেছেন, ভালো সিনেমা তৈরি হচ্ছে। প্রযোজক লাভের মুখ দেখছেন।
তাহলে শিল্পীরও তো পারিশ্রমিক বাড়া উচিত। ঠিক কি না? ২০১৬ সালে আমি সিনেমা শুরু করেছি। ছয় বছর পরে এসে কি সেই আগের পারিশ্রমিকেই কাজ করব? আগের সেই পরিবেশ পরিস্থিতি তো নেই এখন। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। তাহলে কীভাবে একজন শিল্পী তার নিজের জীবনযাপন ও পরিবারের ব্যয় বহন করবেন।’
৩০ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের শিল্পী হিসেবে রাজকে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তাকে হাসির পাত্র বানানো হচ্ছে। এ বিষয়েও মুখ খুলেছেন রাজ। তবে কাউকে হাসির পাত্র বানালে তার কথায় ক্ষোভ প্রকাশ পেলেও রাজের বক্তব্যে তা মোটাদাগে পাওয়া যায়নি।
বরং ক্ষোভের বদলে তিনি এবারও জোর দিয়েছেন উচ্চ পারিশ্রমিকের ওপর। তিনি বলেন, ‘যদি আজ পারিশ্রমিক বেশি হওয়ার খবরটি বলিউড, টালিউডে ঘটত, তাহলে সেখানকার শিল্পীদের অ্যাপ্রিশিয়েট করা হতো। আর আমাদের এখানে উল্টোটা। শিল্পীদের ছোট করা হয়। দুঃখজনক এটি।’