বুশরা হলেন এশিয়ার প্রথম ‘চিফ হিট অফিসার’, তার কাজ কী?

May 5, 2023 / 02:14pm
বুশরা হলেন এশিয়ার প্রথম ‘চিফ হিট অফিসার’, তার কাজ কী?

রেকর্ড তাপমাত্রায় নগরবাসী যখন হাঁসফাঁস করছে, তখন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বুশরা আফরিন।

তিনি কানাডায় গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গ্র্যাজুয়েট। বুশরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের কন্যা। বাংলাদেশে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শক্তি ফাউন্ডেশনে একজন নির্বাহী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, লসঅ্যাঞ্জেলেসে, চিলির সান্টিয়াগো, সিয়েরা লিওনের সান্তিয়াগো, গ্রিসের এথেন্স, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে চিফ হিট অফিসার রয়েছে। সবশেষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের এই দায়িত্ব পেলেন বুশরা আফরিন, যিনি এশিয়ার কোনো শহরের প্রথম চিফ হিট অফিসার।

ঢাকার তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টায় যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাড্রিয়েন আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের (আর্শট-রক) সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে উত্তর সিটি এবং আর্শট-রক ফাউন্ডেশনের মধ্যে ওই চুক্তি হয়। সেখানেই বুশরা আফরিনকে উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার করার ঘোষণা আসে।

তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলা এবং নগরে ‘হিট আইল্যান্ডে’র প্রভাব কমানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন করেন চিফ হিট অফিসার। কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি, নাগরিক সমাজ, দাতা সংস্থাসহ সব পক্ষকে সম্পৃক্ত এবং সমন্বয় করার দায়িত্ব তার।

চিফ হিট অফিসারের আওতায় যেসব কাজ হবে, সেগুলোর অর্থায়ন করবে আর্শট-রক। এ ছাড়া চিফ হিট অফিসারের বেতনসহ সব খরচ তারাই দেবে।

চিফ হিট অফিসার পদে শুধু নারীদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। এর কারণ স্বরূপ অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের পরিচালক ক্যাথি বাগম্যান ম্যাকলর্ড জানান, চিফ হিট অফিসার প্রকল্পের পরিকল্পনাটা এসেছে তার মাথা থেকেই। এই পদে শুধু নারীদের নির্বাচিত করা হয়। কারণ, চরম তাপমাত্রার বড় শিকার নারী ও মেয়েশিশুরা।

ক্যাথি বাগম্যান ম্যাকলর্ডের মতে, গরম কমাতে দীর্ঘ মেয়াদে অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনতে সময় লাগবে। চিফ হিট অফিসারদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো জনসচেতনতা বাড়ানো। এটাই শহরগুলোতে উষ্ণতা থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য সবচেয়ে দ্রুত সমাধান।