শাবনূরের পায়ের সমানও যোগ্যতা নেই, এসব শুনে কাঁদতাম: পূর্ণিমা

Apr 17, 2023 / 02:49pm
শাবনূরের পায়ের সমানও যোগ্যতা নেই, এসব শুনে কাঁদতাম: পূর্ণিমা

অভিনয় জগতে তারকাদের মধ্যে রেষারেষি দেখা যায়। বিশেষ করে অভিনেত্রীদের মধ্যে বেশি। ঢাকাই সিনেমায় আমরা জেনে আসছি শাবনূর আর পূর্ণিমার মধ্যে দা-কুড়াল সম্পর্ক। আসলেই কি তাই।

শুক্রবার বিকালে হঠাৎ এই দুই অভিনেত্রী একসঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি পরিষ্কার করলেন। তারা একে-অপরের প্রশংসাসহ অনেক কথা বলেছেন। পূর্ণিমা একপর্যায়ে বলেই দিয়েছেন আপুর জন্য নতুন নায়িকারা ইন্ডাস্ট্রিতে পা-ই রাখতে পারত না। ডিরেক্টরদের হাতে বকা খেয়ে অনেক কাঁদতে হয়েছে তাকে।

চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা কয়েক দিন আগে পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে গেছেন। এদিকে শাবনূরও অনেক দিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন। শাবনূরের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার তার বাড়িতে যান পূর্ণিমা। সেখান থেকে বিকালে হঠাৎ ফেসবুক লাইভে আসেন তারা। শাবনূরকে পাশে পেয়ে নিজেদের হাসি-আড্ডার মুহূর্তটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি।

শুরুতেই হাস্যোজ্বল মুখে পূর্ণিমাকে শাবনূর বলেন, আমাদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বাজে ধারণা আছে। সবাই মনে করে আমাদের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। এটা একটু পরিষ্কার করে দাও তো।

এরপর পূর্ণিমা বললেন, আসলে আমাদের মধ্যে ফুলে-ফুলে সম্পর্ক। তিনি আমার খুব পছন্দের অভিনেত্রী। আমরা তাকে (শাবনূর) দেখেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তিনি আমাদের অভিনয়ের ইনস্টিটিউট।

আমরা এখনো অভিনয় করতে গেলে সবার আগে শাবনূর আপুর কথা মনে আসে। তিনি কীভাবে, কোন এক্সপ্রেশন দিতেন, সেটা মনে করে কাজ করি। যদিও আমরা বা আমি তার ধারে কাছে যেতে পারিনি। তিনি আসলেই অসাধারণ একজন মানুষ।

এসব শুনে শানবূর নিজেও পূর্ণিমার প্রশংসায় বলেন, পূর্ণিমার এতো গুণ! আমার মনে হয়, আমি ওর মতো পারবো না। এতো সুন্দর করে কীভাবে কথা বলে, স্টেজে পারফর্মেন্স করে।

ওর আসলে গুণের শেষ নেই। দেখতেও সুন্দর। ওর তুলনা ও নিজেই। আমি অনেক খুশি হয়েছি, ওর অস্ট্রেলিয়া আসার খবর শুনে। এরপর আমি ওকে হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজেছি।

পূর্ণিমার সঙ্গে সিনেমা করার আশ্বাসও দেন শাবনূর। তবে সেটা ঢাকায় নয় বরং অস্ট্রেলিয়ায় হবে। শাবনূর বলেন, আমরা দুজন আবার সিনেমা করলে কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়াতে করবো?। ইচ্ছে আছে করার। এখনই বলতে পারছি না, কতদূর করতে পারবো। কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা নাই।

শাবনূরের কথায় সায় দিয়ে পূর্ণিমা নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, একটা সত্যি ঘটনা বলি, শাবনূর আপু তখন সুপার-ডুপার হিট।

তার যন্ত্রণায় আমরা কেউই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারছিলাম না! কোনো সিনেমায় ধারের কাছে যেতে পারছিলাম না। যখনই আমি শুটিং করতাম, তখন নির্মাতা-কোরিওগ্রাফাররা বলতেন, ‘কী এক্সপ্রেশন দাও! শাবনূরের মতো করো। শাবনূরের চোখ কথা বলে, ঠোঁট কথা বলে; তার পায়ের যোগ্যতা নেই। ’ এসব শুনে আমি কোণায় গিয়ে কাঁদতাম।