মেয়েকে রান্না করতে বলেছিলেন, খাওয়া আর হলো না

সকালে ব্যবসার কাজে ঢাকা রওনা হয়েছিলেন ফরহাদ শিকদার (৬৫)। মেয়ে সাথী আক্তারকে ডেকে বলে গিয়েছিলেন দুপুরে খাবার রান্না করে রাখতে। তিনি ফিরে এসে পরিবারের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন। কিন্তু সেই খাওয়া আর হলো না! বাস দুর্ঘটনায় থমকে গেল তার জীবন।
আজ রবিবার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাসে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় বাসে থাকা ফরহাদ শিকদারসহ এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ৩০ জন।
নিহত ফরহাদ শিকদার নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চর করকী এলাকার মৃত বকু শিকদারের ছেলে। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসটি দুর্ঘটনায় পড়লে ফরহাদ শিকদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তী সময়ে তার পকেটে থাকা মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিবারকে খবর দিলে মেয়ে সাথী আক্তার বাবার মৃতদেহ নিতে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন।
হাসপাতাল প্রঙ্গণে নিহতের বড় মেয়ে সাথী আক্তার আহাজারিতে ভেঙে পড়েন। বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘আব্বায় কইছিল দুপুরে ভাত রান্না করতে, আইয়া একসঙ্গে ভাত খাইবো। সেই খাওন আর হইলো না। আইজ আমরা সর্বহারা হইয়া গেলাম। আমাগো বটগাছটা আজ চলে গেল। আম্মারে বাড়িতে ফিরা কী জবাব দিমু? আল্লাহ তুমি এইডা কী করলা।’
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন