টানা একমাস দরপতনের পর বিশ্ববাজারে বেড়ে গেলো স্বর্ণের দাম

টানা একমাস দরপতনের পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান হয়েছে। এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৫০ ডলার বেড়েছে। এর ফলে যে কোনো মুহূর্তে দেশের বাজারেও মূল্যবান এই ধাতুটির দাম বাড়তে পারে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮১০ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ১ হাজার ৮৫৫ দশমিক ২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪৫ দশমিক ২৫ ডলার। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৫ ডলার।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বাজুস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে এমন বড় উত্থান হওয়ায় দেশের বাজারে বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মার্চ বিকেলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে বৈঠক করবে। তবে প্রয়োজনে এর আগেও কমিটি বৈঠকে বসতে পারে।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, আমরা দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ৫০ ডলারের মতো বেড়েছে।
তবে আমরা স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে বিশ্ববাজারের প্রভাবটা এখনো সেভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তাই আগামী সোমবারের বাজার চিত্র দেখব। এরপর বৈঠক করে স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
এর আগে, বিশ্ববাজারে এক মাস ধরে টানা দরপতন হয় স্বর্ণের । এতে এক মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৩৫ ডলার কমে যায়। বিশ্ববাজারে টানা দরপতনের মধ্যে সম্প্রতি দেশের বাজারে দুদফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।
সর্বশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা করা হয়।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন