জাবি শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি চান

প্রকাশিত: জানু ৩০, ২০২৩ / ১০:৪৫অপরাহ্ণ
জাবি শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তানের স্বীকৃতি চান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা বেগম নিজের ও সন্তানের পূর্ণাঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। রোববার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন সেলিনা।

অভিযোগপত্রে সেলিনা দাবি করেন, মেহেদী ইকবালের সাথে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার প্রথম বিয়ে হয়। সাত মাস বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকলেও পরে তালাক দেন মেহেদী।

পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতির শর্তে ২০২১ সালের জুনে পুনরায় বিবাহ হয় এবং একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। যার বর্তমান বয়স প্রায় ১৫ মাস। তবে সন্তানের মৌখিক ও কাগজে স্বীকৃতি দিলেও প্রকাশ্যে সামাজিক স্বীকৃতি জানাতে এবং একসঙ্গে বসবাস করতে অনীহা প্রকাশ করেন এই অধ্যাপক।

ইতোপূর্বে প্রথম বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে পূর্ণাঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতির দেওয়ার শর্তে মেহেদী ইকবাল দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তাকে। পরে প্রথমবারের অভিযোগপত্রটি উত্তোলন করলেও সমাধান না করায় দ্বিতীয়বারের মতো অভিযোগপত্র দিলেন বলে দাবি সেলিনার।

সেলিনা বলেন, আমি পুনরায় ৪ মাসের গর্ভবতী। এখন সে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ভরণপোষণ বন্ধ করে দিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমাদের সন্তানের সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এ বিষয়ে জানতে সেলিনা আক্তারের স্বামী ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি। আমি চাই তারা সমস্যাটি পারিবারিকভাবেই সমাধান করুক।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রথম স্ত্রীর ঘরের ১০ বছরের সন্তানকে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে শৃঙ্খলা আইন ভাঙার অভিযোগে এই শিক্ষককে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন