কাদের বললেন ‘শেখ হাসিনার আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি হবে না’

আমাদের সকলের প্রথম ও প্রধান শত্রু সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে এসে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আমি বলব, আমাদের এখন এক নম্বর শত্রু, প্রধানতম শত্রু জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে, জঙ্গিবাদকে রুখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসকে শান্তিময় ক্যাম্পাসে রূপ দিতে হবে। এখানে শেখ হাসিনার আমলে আর অস্ত্রের ঝনঝনানি হবে না, যে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে একসময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল ছিল।
এই ক্যাম্পাস এখন শান্তিপূর্ণ। এখানে সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন, জঙ্গিবাদের আগ্রাসন আমরা চাই না। এ দেশের রাজনীতিতে আমরা সম্প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি করব, এই হোক আমাদের শপথ।’
তিনি আরো বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর আড়াই বছর জেল খেটেছিলাম জিয়াউর রহমানের কারাগারে। ১০ দিন রিমান্ডে ছিলাম। অমানবিক অত্যাচার করেছে। তখন রাতে ছিল কারফিউ, দিনে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এই জগন্নাথ হল থেকে আমিসহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছি।
এখান থেকে ফরিদপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা অবস্থায় এক রাতে শুনতে পাই আমাকে ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে। এর আগে কেউ জেলে থাকা অবস্থায় এ দায়িত্ব পায়নি; আমিই প্রথম পেয়েছি। এটা আমার জন্য গৌরবের।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ হলের প্রধ্যক্ষ ও পূজা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত কুমার নন্দী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান এবং ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন