ইয়াবা পাওয়া গেল ৩ রোহিঙ্গা কিশোরের পেটে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ায় ছয় রোহিঙ্গা কিশোরকে আটক করে র্যাব। তাদের মধ্যে তিনজনের কাছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।
বুধবার রাতে মহাসড়কের মৌলভীর দোকান জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃতরা হলো- কক্সবাজার টেকনাফের ২৪ নম্বর লেদা ক্যাম্পের মো. তারেক (১৯), আব্দুল শুক্কুর (২৪) ও নুর হাসান (১৪)। আটক অন্য তিন কিশোর হলো- বশির আহমদ (১৪), মো. আয়াস (১৩) এবং শামসুল আলম (১৪)। তারা সবাই টেকনাফের ২৪ নম্বর লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, র্যাবের একটি টিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টহল ডিউটির সময় খবর পায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে ইয়াবা পাচার হচ্ছে।
তথ্যানুযায়ী হানিফ পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের মৌলভীর দোকান জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজের সামনে পৌঁছলে র্যাবের সংকেতে থামে। পরে র্যাব বাসের হেলপারের সহযোগিতায় পুরো বাসে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে বাসের শেষপ্রান্তে জে-ওয়ান থেকে জে-থ্রি পর্যন্ত সিটে তিন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে।
এ সময় গ্রেফতার তারেক বমি করে ৯ প্যাকেট ইয়াবা বের করে দিলে গ্রেফতার অন্যরাও স্বীকার করে নেয় তাদের পেটে ইয়াবা আছে। তখন রাত ৯টার দিকে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন র্যাব সদস্যরা।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে এক্সরে করে পেটে ইয়াবা থাকার সত্যতা পেলে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে গ্রেপ্তার আসামিদের পেট থেকে ৪ হাজার ৯৪৯ পিস ইয়াবা বের করে আনা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে পেটের ভেতরে করে কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচারের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও তারা আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামে যাচ্ছিল।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, র্যাব ছয় রোহিঙ্গা কিশোরকে ধরে থানায় হস্তান্তর করে। এদের মধ্যে তিন কিশোর পেটে করে ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিন কিশোরকে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন