শুক্রবার নতুন সরকার ঘোষণা করবে তালেবান, থাকবে না কোনো নারী

আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তালেবান। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হবে বলে তালেবানের বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে, মন্ত্রিসভায় কোনো নারীর স্থান পাবেন না বলে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা শের মুহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই বিবিসিকে জানিয়েছেন। এর প্রতিবাদে হেরাতের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ৫০ জনের মতো নারী। এ সময় তারা শিক্ষা, কাজ করার অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার হন।
মানবাধিকার রক্ষা ও ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী নারীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেই তালেবান একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সব সরকারি কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। সংগঠনটির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ক্ষমা।
এদিকে, দেশটিতে খাদ্যের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। খাদ্যের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে তীব্র খাদ্য সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তা বন্ধ রয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন পাননি বলেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করা নতুন তালেবান সরকারের জন্য বেশ কঠিন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা শের মুহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই জানিয়েছিলেন, নতুন এই মন্ত্রীসভায় কোনো নারী স্থান পাবেন না। এনিয়ে আফগান সংবাদ মাধ্যম টোলে নিউজের বরাত দিয়ে দ্য গর্ডিয়ান বলছে, নতুন এই সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকবেন তালেবান প্রধান হেবায়েত উল্লাহ্ আখুনজাদা। তাঁর ডেপুটি থাকবেন তিনজন। তারা হলেন শীর্ষ নেতা মোল্লাহ্ আবদুল গনি বারাদার, প্রভাবশালী হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি এবং প্রয়াত নেতা মোল্লা ওমরের ছেলে মৌলভী ইয়াকুব।
যদিও ইউরোপের নেতারা বলছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তালেবান নেতারা মানবাধিকার নিশ্চিত করবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন করবে, তাদের স্বীকৃতি দেয়া হবে না।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন