ওমরাহ যাত্রা আটকে যাচ্ছে টিকার জন্য

সিনোফার্মের কোভিড-১৯ টিকা সৌদি আরব সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় এই টিকা গ্রহণকারীরা ওমরাহ পালনে যেতে পারছেন না। তবে সিনোফার্ম টিকা গ্রহণকারীরা বুস্টার ডোজ হিসেবে অন্য কোনো টিকা নিলে আবার ওমরাহ পালনের অনুমতি পাবেন।
এদিকে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে চীনের তৈরি সিনোফার্ম টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে না বুস্টার ডোজ। ফলে টিকা জটিলতায় আটকে যাচ্ছে বাংলাদেশিদের ওমরাহ যাত্রা। অন্যদিকে নানা বিধিনিষেধের কারণে ওমরাহ পালনের ব্যয়ও বাড়ছে। অনুমতি মিললেও ব্যয় বৃদ্ধি ও বিধিনিষেধের কারণে দুশ্চিন্তায় এজেন্সি মালিকরা।
হজ এজেন্সির মালিকরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ পালনকারীদের সৌদি যাত্রা শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বর থেকে। তবে বিধিনিষেধের কারণে পর্যাপ্ত ওমরাহ পালনকারী পাওয়া যাবে না বলেও শঙ্কা এজেন্সিগুলোর।
টিকা নিয়ে জটিলতা এবং এয়ারলাইনসগুলোর টিকিটের উচ্চ দামের ব্যাপারে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউছুফ ঈসা আলদুহাইলান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে যারা সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন তারাও যাতে ওমরাহ পালন করতে পারেন তার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করার অনুরোধ জানান হাব নেতারা।
হাব নেতারা জানান, সৌদি আরব সরকার ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। তাই ওমরাহ পালনে আগ্রহীদের এসব টিকার মধ্যে যেকোনো একটি যেন দেওয়া হয়।
সিনোফার্মের টিকা গ্রহণকারীরাও যাতে ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যেতে পারেন সে জন্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সৌদি সরকার ও সৌদি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া ওমরাহযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানান।
বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সিনোফার্মার টিকা নিয়ে ওমরাহ গমনের বিষয়ে সৌদি আরবের নির্দেশনা প্রয়োজন। ওমরাহযাত্রীদের জন্য সরাসরি মদিনার ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেন। তবে এক্ষেত্রে সৌদি সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। তিনি এবিষয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ওমরাহযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর বিষয়েও আশ্বস্ত করেন।
সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (হজ) জহিরুল ইসলাম বলেন, সিনোফার্মার টিকার বিষয়ে শিগগির সৌদি সরকার থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
হাব সভাপতি বলেন, ফ্লাইটের আগে পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হলে ওমরাহযাত্রীরা যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং টিকেট এবং হোটেল আবার বুকিং করতে পারেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওমরাহযাত্রীদের জন্য এখন সৌদি এয়ারলাইন্স ও বিমানের ভাড়া অনেক বেশি। বিমানের ভাড়া কমানো দরকার।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউছুফ ঈসা আলদুহাইলান বলেন, মহামারির কারণে ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ৬০ হাজারে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে তা বাড়ানো হবে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন