পর্তুগাল জাতীয় দলের ক্রিকেটার বাংলাদেশের সেই নিপু

প্রকাশিত: আগ ২১, ২০২১ / ০৮:১৭অপরাহ্ণ
পর্তুগাল জাতীয় দলের ক্রিকেটার বাংলাদেশের সেই নিপু

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সাকিব, তামিম ও মুশফিকের সঙ্গে নজর কেড়েছিলেন সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপু। এই বাঁহাতি পেসার মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত। ঘরোয়া ক্রিকেটেও বেশ নজর কেড়েছিলেন। চুক্তিবদ্ধ হয়ে ছিলেন বিসিবির সঙ্গেও।

কিন্তু ইনজুরির কারণে থমকে যায় হবিগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার। গ্রামের মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে চোখে আঘাত পয়ে সবকিছু থেমে গিয়েছিল। বিসিবি থেকে চিকিৎসার যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশায় জীবিকার তাগিদে বিদেশে চলে যান।

কাজের ফাকে ক্রিকেট খেলে তিনি এখন পর্তুগাল জাতীয় দলেরও খেলোয়াড়। এক সময় তাঁর সতীর্থ ছিলেন মুশফিক, সাকিব ও তামিম। তাঁরা এখন তারকা।

গত ১৯ আগস্ট পর্তুগালের হয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাল্টার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সিরাজুল্লাহ খাদেম নিপুর। সে ম্যাচে পর্তুগাল ৬ উইকেটে জেতে। নিপু ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে বেশ নজর কাড়েন। আজ শনিবার পর্তুগাল মুখোমুখি হয় জিব্রালটার।

নিপু বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেসার হিসাবে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ছিলেন। দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করা হতো। বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলের হয়ে অনেক দেশ সফর করেছিলেন।

সে সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রাদেশিক লিগ প্রতিযোগিতা ডারউইন প্রিমিয়ার লিগে ডামরিন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছিলেন। একটি ম্যাচে পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে ৮৮ রান এবং ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দলের সাবেক কোচ শন উইলিয়ামস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, নিপু হবে বাংলাদেশের জাতীয় দলের পরবর্তী তারকা অলরাউন্ডার। উইলিয়ামস এই তরুণকে ২০০৭ সালে ডারউইন ক্লাবের হয়ে খেলতে পাঠান।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে মোহামেডানের মতো দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন নিপু। সিলেট বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অভিষেক হয় অল্প বয়সে। বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিটি বয়সভিত্তিক দলের অটোমেটিক চয়েস ছিলেন নিপু।

২০০৯ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য হবিগঞ্জে নিজেকে প্রস্তুত করার সময় চোখে আঘাত হানে। সব হতাশা কাটিয়ে এখন পর্তুগালের হয়ে সফল্য অর্জন করা লক্ষ্য নিপুর।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন