‘শিল্পী সমিতির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ন্যক্কারজনক’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি চিত্রনায়িকা পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করেছে। চলমান করোনার মধ্যেও সংবাদ সম্মেলন করে পরীমনিসহ আরেক চিত্রনায়িকা একার সদস্যপদ স্থগিত করেছে। শিল্পী সমিতির এই ভূমিকা ইতিমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
পরীমনি বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বলে জানিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু সাইয়ীদ।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উচিত ছিল এই সময়টায় পরীমনির পাশে থাকা। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলা, কোনো সহযোগিতা দরকার কি না তা-ও জানার চেষ্টা করা।
পরীমনির সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়ে গুণী এই পরিচালক তাঁর ফেসবুকে গতকাল রাতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পরীমনি বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ন্যক্কারজনক।’
পরিচালকের এই পোস্টে মন্তব্যের ঘরে বিনোদন অঙ্গনের অনেকে তাঁদের মতামতও দিয়েছেন। তাঁরাও আবু সাইয়ীদের এই মতামতকে সমর্থন জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে আবু সাইয়ীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোনো কিছু প্রমাণের আগে সদস্যপদ প্রত্যাহারের বিষয়টি ন্যক্কারজনক মনে করেছি। মোটেও ঠিক হয়নি। সমিতির উচিত ছিল এই সময়টায় তার পাশে থাকা। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলার দরকার ছিল।’
গত বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা।
প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় পরদিন পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়।
প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুইটি মামলা করে র্যাব।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন